প্রকাশিত:
৭ অক্টোবর, ২০২৫
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। শুক্রবার সমুদ্রপথে গাজার অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করলে থুনবার্গসহ চার শতাধিক কর্মীকে ইসরায়েলি নৌবাহিনী জোরপূর্বক আটক করে। এরপর ১৩০ জনকে রোববার তুরস্কে এবং থুনবার্গকে সোমবার গ্রিস হয়ে স্লোভাকিয়ায় পাঠানো হয়।
হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, 'সে (থুনবার্গ) ঝামেলাবাজ। এখন আর পরিবেশ নিয়ে নেই, এখন অন্য কিছুর মধ্যে ঢুকে পড়েছে। ওর ডাক্তার দেখানো দরকার। ওর রাগ নিয়ন্ত্রণের সমস্যা আছে।'
উল্লেখ্য, ট্রাম্প ও থুনবার্গের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব নতুন নয়; ২০১৯ সালে টাইমস ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব হওয়ার পরেও ট্রাম্প থুনবার্গের রাগ নিয়ন্ত্রণের সমস্যার কথা তুলেছিলেন। জবাবে থুনবার্গ একসময় নিজের এক্স অ্যাকাউন্টের বায়োতে লিখেছিলেন, 'এক কিশোরী, রাগ নিয়ন্ত্রণের সমস্যার সমাধান নিয়ে কাজ করছি।'
এদিকে, শনিবার থুনবার্গের সহকর্মী ও আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, থুনবার্গসহ আটক ব্যক্তিদের ইসরায়েলি কারাগারে 'নির্যাতন' ও 'অমানবিক আচরণের' শিকার হতে হয়েছে। ইসরায়েল অবশ্য এই অভিযোগ নাকচ করেছে, কিন্তু ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গভির বলেন, তিনি নাকি বন্দীদের কঠোর অবস্থার মধ্যে রাখা নিয়ে 'গর্বিত'।
সোমবার মুক্তি পাওয়ার পর থুনবার্গ প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে কথা বলেন। তিনি অভিযোগ করেন, ইসরায়েলি কারাগারে তাকে মারধর করা হয়েছে এবং জোর করে ইসরায়েলের পতাকায় চুমু খাওয়ানো হয়েছে। তবে তিনি বলেন, 'আমাদের আটক ও নির্যাতন নিয়ে অনেক কিছু বলা যায়। কিন্তু সেটাই আসল গল্প নয়। আসল বিষয় হলো, আমাদের চোখের সামনে গণহত্যা চলছে। সরাসরি সম্প্রচারিত গণহত্যা।'